জুলুম তো কেবল জুলুমই
যত বাড়ে, তেজ তার ততো মিলায়।
রক্ত হইলো এমন জিনিস,
তারে বহাইলা মানে জইমা যাবে।
সেইটা মরুভূমির বালির শুইষা নেয়া রক্ত হোক বা খুনীর আঙ্গুল বাইয়া গড়ায়া পরা রক্ত হোক,ন্যায়ের মুখে ছিটকায়া পরা রক্ত হোক কিংবা শেকলবান্ধা পায়ের ছোপ ছোপ রক্ত হোক,অত্যাচারীর তরবারিতে ফিনকি দিয়া উঠা রক্ত হোক কিংবা ছিন্নবিচ্ছিন্ন লাশেরে রাঙানো রক্ত হোক,
সবগুলা সেই একই জিনিস।
যেইমাত্র বহাইবা সেই মাত্র জইমা যাবে।
খুনী তুমি যতোই গা ঢাইকা চলোনা কেন,
রক্ত কিন্তু নিজেই কসাইয়ের পরিচয় তুইলা আনতে পারে
ষড়যন্ত্র যতই কালো অন্ধকার জড়ায়া ফণা তুলুকনা কেন,
প্রত্যেক ফোটা রক্ত জ্বলন্ত প্রদীপ হাতে তার তালাশ করে।
শোষকের ব্যর্থ জীবন আর কালিমাখা ভাগ্যরে চিৎকার কইরা বইলো,হিংস্রতা পুইষা রাখে যে ধূর্ত ধর্মান্ধ তারে শোনাইয়া বইলো,জাতিসংঘের সেক্রেটারি কাউন্সিলরেও জানাইয়া দিও,
রক্ত বড় পাগলা জিনিস
ফিনকি দিয়া উইঠা তোমাদের সাদা কাপড়ে রঙ ছড়াইয়া দিবে।
এইটা অন্তিম আগুনের মতো সর্বগ্রাসী,তোমাগো জমানো খাজানা পুড়াইয়া ছাই বানায়া দিবে।
কসাইখানায় যেই রক্ত তোমরা মাটিচাপা দিতে চাইলা,
তারা এখন রাস্তায় নাইমা আসছে।
কখনো শোলার আগুন আর কোথাও বুকফাটানো স্লোগান হইয়া।
তারা জমাট বাধছে পাষানের মতো দৃঢ় হইয়া।
রক্ত যখন টগবগায়,বেয়োনেটের বাধ তারে ঠেকায় রাখতে পারেনা
রক্ত যখন মাথা উচাইয়া উঠে,আইনের জবরদস্তি তারে নোয়ায় দিতে পারেনা।
জুলুম- এইটাও বুঝি কোনো জিনিস হইলো?
কতটুকুইবা এর ক্ষমতা?
সেতো আগা থেইকা গোড়া কেবল জুলুম হইয়াই থাকতে জানে।
কিন্তু রক্ত এমন জিনিস,দশসহস্র রূপ সে বদলাইতে জানে,
এগুলা মুছায় দেওয়ার ক্ষমতা তোমাদের কারো নাই।
এমন ধিকিধিকি আগুন হইয়া সে জ্বলে
যারে নিভানোর পানি আনতে তোমাদের সমুদ্র থেইকা সমুদ্রতক উজাড় হবে।
এমন সে আকাশ চুরমার করা স্লোগান
যারে চুপ করানো যায়না।
জুলুমতো কেবল জুলুমই,
কিন্তু রক্ত হইলো রক্ত,
বহাইলা মানে জইমা যাবে।