গাজা গণহত্যা এবং নয়া  উপনিবেশবাদঃ কিছু প্রারম্ভিক ভাবনা 

মাহতাব উদ্দিন

গত এক মাস ধরে মন ভীষণ খারাপ। প্রতিদিন গাজায় শ-তিনেক মানুষ মারা যাওয়ার খবর দেখি, আর মন খারাপ তীব্রতর হয়। ৭ অক্টোবর হামাসের নিরীহ মানুষ হত্যা অবশ্যই ঘৃণ্য এবং কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য না। কিন্তু, এর বিপরীতে ইসরাইল যা করছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। ইসরাইলের বর্তমান আগ্রাসন পুরোপুরিই গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ।

বেশিরভাগ ইউরোপিয়ান নেতারা এই গনহত্যায় একেবারে চুপ করে আছেন। যারা গতবছর রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমন নিয়ে যুদ্ধাপরাধের দাবি তুলেছিলেন, তাদের প্রায় সবাই এবার নিশ্চুপ। এমনকি, আমি যে সকল তারকাদের পছন্দ করি, যারা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পতাকা বদলাল, টুইটার এ টুইট করলো, তারা পর্যন্ত দেখি এই তীব্র গণহত্যায় একদম নিশ্চুপ। ইউক্রেনে পুরো যুদ্ধে যতজন মারা গেছেন, গাজায় এক মাসে তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন, যার বেশির ভাগই শিশু আর নারী। তবু, পশ্চিমের এই গোষ্ঠীর মধ্যে কোনো পরিবর্তন নাই। যেনো, শুধু শেতাঙ্গ মানুষের রক্তের রং লাল, বাকিদের শরীরে রক্তই নাই। সকল নিরীহ মানুষের জীবন মূল্যবান, হোক সেটা ইসরাইলি, ফিলিস্তিনি, আরব, কিংবা ইউক্রেনীয়– এই একটা কথা স্বীকার করে মুখে বলতে কি খুব দুরুহ? কেনো সকল মৃত্যু তাদেরকে একই ভাবে তাড়ায় না?

এটা নিয়ে অবশ্য অনেক মনস্তাত্বিক গবেষণা আছে। মানুষের মধ্যে Group Feeling বা গোষ্ঠীগত চেতনা অত্যন্ত প্রবল। আমেরিকায় একদল নিউরোলজিস্ট একটা গবেষণা করেছিলেন। তারা কিছু ভলান্টিয়ার নিলেন। নিয়ে তাদের একটা মেশিনের মধ্যে বসিয়ে, মাথায় তার লাগিয়ে তাদের কিছু নির্যাতনের ছবি দেখালেন। এবং, সেই ছবিগুলোকে তারা কয়েকটাকে বললেন, এই ছবিটা একজন মুসলমানের, এটা একজন খ্রিস্টানের, এটা হিন্দুর, ইত্যাদি ইত্যাদি। অবধারিত ভাবে তারা দেখতে পেলেন, যেই মানুষ যেই গোষ্ঠীতে আছেন, তাদের স্বগোত্রীয় মানুষের কষ্ট তাদের মাথার মস্তিষ্ক বেশি তাড়িত হয়েছে।

এর বাইরেও, ইউরোপিয়ান নেতারা স্বীকার করুক আর না করুক, ইউরোপ/ আমেরিকায় এখনো তীব্রভাবে শেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ বজায় আছে। সবার না হোক, একটা বড় অংশের মধ্যে তীব্র মুসলিম বিদ্বেষও আছে। তবে, এই যে নন-ইউরোপিয়ানদের প্রতি  ইউরোপিয়ানদের হেয় দৃষ্টিভঙ্গি, এই মানুষিকতা একেবারেই নতুন না। বরং বহু বহু পুরোনো। অনেকের মধ্যে এখনো কলোনিয়াল মানসিকতা আছে। 

ইউরোপিয়ানরা কয়েকশ বছর ধরে, সেই ষোড়শ শতাব্দী থেকে, সারা বিশ্বে বিপুল পরিমাণ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার ছিল দুই ধরনের, একটা হলো কলোনিয়াল, আরেকটা হলো সেটলার। কলোনিয়াল সেট আপ এর ভালো উদাহরন ইন্ডিয়া। এখানে, ইংরেজরা এসেছে, শাসন করেছে। এখানেও নির্যাতন হয়েছে, কিন্তু সেই নির্যাতন করতে গিয়ে এরা স্থানীয় মানুষের জমি চাষবাস কেড়ে নিয়ে শ্বেতাঙ্গ সেটলারদের দিয়ে দেয় নি। এখানে কৃষকদের ইক্ষু কিংবা নীল চাষে বাধ্য করেছে, কিন্তু শ্বেতাঙ্গ মালিক জমির পুরো মালিকানা নিয়ে নেয়নি। 

এই উপনিবেশিক ধারার চেয়ে করুণতর ধারা ছিল, সেটলার প্রবনতা। যেমন, চিলি, ব্রাজিল, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিংবা আফ্রিকার অন্য বহু দেশে – এসব জায়গায় ইউরোপিয়ানরা গিয়েছে, স্থানীয় সম্প্রদায়ের লোকদের কচুকাটা করে শেষ করে ফেলেছে, আর তারপর তাদের জায়গায় নিজেদের খামার করেছে। বেশিরভাগ জায়গায় স্থানীয় মানুষদের কোনো অধিকারই ছিল না। তাদেরকে দাস হিসেবে কিনেছে, বেচেছে। এরা কুকুর বিড়ালের প্রতিও বেশি ভালোবাসা দেখাতো দাসদের চেয়ে।

এখন গাজায় ইসরাইলের যেই সেটলার মেন্টালিটি দেখা যাচ্ছে, এটা তাই ইউরোপিয়ান নেতাদের কাছে নতুন না। আর ইসরাইলিদের যেই মানসিকতা, বা যেই বিশ্বাস তাদের নিজেদের মনকে সমর্থন দিচ্ছে, সেই একই মনস্তাত্বিক ধারণা ইউরোপীয়ান সেটলারদেরও ছিল। শেতাঙ্গ ইউরোপিয়ান শাসক গোষ্ঠী নিজেদের উন্নত সম্প্রদায় মনে করতো। তারা ভাবতো, তারা যে এই কালো লোকগুলোর কাছে আলো নিয়ে এসেছে, এইতো বেশি! এর কারণে যদি কিছু কালোর প্রাণ যায়, তাতে কিছু আসে যায় না। কালো আর শ্বেতাঙ্গ প্রাণের দাম সমান না। অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত দার্শনিক আর পন্ডিতগণ আবার এই মানসিকতার পক্ষে সাফাইও গেয়েছেন। যেমন, জন স্টুয়ার্ট মিল বলেছেন, Despotism যদি barbarian জনগোষ্ঠীর জন্য অবশেষে ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারে, তাহলে সেটা গ্রহনযোগ্য। এটার একটা নামও আছে, Benevolent Despotism. এর চেয়ে আরেক কাঠি সরেস বক্তব্য দিয়েছেন, Winston Churchill; আমেরিকায় রেড ইন্ডিয়ানদের গণহত্যার ব্যাপারে বলেছিলেন, এইসব রেড ইন্ডিয়ানদের হত্যায় কোনো অন্যায় হয় নাই। এদের উপর এদের চেয়ে উন্নত মানব প্রজাতি শাসন করতে এসেছে। ইন্ডিয়ান আর বাঙালিদের নিয়ে এই ভদ্রলোকের অসম্ভব বাজে বাজে রেসিস্ট মন্তব্য আছে। 

এই একই মানসিকতা বর্তমান ইসরাইলের বহু বহু মানুষের আছে। এরা বিশ্বাস করে, they are the chosen one। তারা ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট, তারা আলোর সন্তান। তাই, এদের অনেকেই ইহুদি সম্প্রদায়ের বাইরের মানুষদের নিজেদের সমকক্ষ ভাবে না। এইসব অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষদের মৃত্যুতে তাই তাদের কিছু মনে হয় না।

কিন্তু, তবু, সব ইহুদীদের ভাবনা এক না। একটা বড় অংশ এই ইহুদি জায়নবাদকে সমর্থন করেন না। তারাও তাই গাজায় এই গণহত্যার বিপক্ষে সরব হয়েছেন। লক্ষ লক্ষ ইউরোপিয়ান, আমেরিকানরা এই গনহত্যার বিপক্ষে বলছেন। আগের শতাব্দী গুলোর সাথে বর্তমানের এটা একটা বড় পরিবর্তন। এটাই হয়তো পরিবর্তনের সূচনা।

সকল যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান থাকে, তথ্যের মোকাবেলা। যুদ্ধকে একটা মনস্তাত্বিক বৈধতা (জাস্টিফাইড মোরাল) দিতে না পারলে, সেই যুদ্ধ জনগণের কাছে টেকে না। যুদ্ধেরও জনসমর্থন লাগে। ইতিহাসের বহু বহু যুদ্ধের ইতিহাসে দেখা যায় যে, যুদ্ধের সময় বিকৃত তথ্যের অপব্যবহার কি পরিমাণ গুরুত্বপূর্ন। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই।

এই যেমন, ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহ যখন ভারত বর্ষে ছড়ালো তখন ইংরেজ শাসক গোষ্ঠী কঠোরভাবে এই বিদ্রোহ দমন করে। বিদ্রোহী সিপাহীদের কে কামানের গোলার সামনে বেঁধে কামান দাগিয়েছে, গলা কেটে সেই মুন্ডু ঝুলিয়ে রেখেছে, ফাঁসি দিয়ে তাদেরকে নগরের মোড়ে মোড়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। অনেক ক্ষেত্রে গ্রামের পর গ্রাম চোখের সামনে যত পুরুষ মানুষ পড়েছে, সবাইকে হত্যা করেছে। কিন্তু, এই বিপুল হত্যাকাণ্ড কিভাবে তারা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জাস্টিফাই করেছে? করেছে অপতথ্য দিয়ে। সেই সময় ইংরেজ গভর্নররা প্রতিনিয়ত লিখেছেন, বিদ্রোহী সিপাহীরা আজকে এই শ্বেত নারীকে ধর্ষণ করেছে, কাল এতজন গোরাকে মেরে ফেলেছে; মেরে ফেলার আগে নাকি তাদের চোখ উপড়ে ফেলেছে, জিহ্বা কেটে দিয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। এরকম বিভৎস বর্ণনা পড়ার পর, হাজার মাইল দূরের ইংরেজ সংবাদ পাঠকদের মনে হয়েছে, এইসব কালো বিদ্রোহী ইন্ডিয়ানদের যোগ্য সাজাই মিলছে। কতবড় সাহস, গোরার গায়ে হাত দেয়? কিন্তু, পরবর্তীতে যখন স্বাধীন কমিশন গঠন হলো, তারা এইসব তথ্যের বেশিরভাগেরই কোনো প্রমাণ পান নাই। কিন্তু ততদিনে সেই ইংরেজ গভর্নরের মিলিটারি ক্ষমতার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। বহু বহু নিরপরাধ মানুষ ইতোমধ্যে বলি হয়েছেন।

এই যে বিকৃত তথ্যের ব্যবহার, এরকম উদাহরন ইতিহাসে ভুড়িভুড়ি আছে। নিকট অতীতের বসনিয়া কিংবা হালের ইসরাইল–গাজা যুদ্ধ একদম প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

গাজায় হামাস এর উত্থান এর ব্যাপারে ইসরাইল এর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বক্রীয় ভূমিকা আছে। তার উপর, ইসরাইল এর গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদ এই পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা বাহিনী গুলোর একটা। এদের প্রযুক্তি পৃথিবীতে প্রায় অদ্বিতীয়। এদের এক প্যাগাসাস দিয়ে এরা যেকোনো মোবাইল ফোন যেকোনো সময় স্বক্রিয় করে সব কিছু জেনে নিতে পারে। কিন্তু, সেই মোসাদ, হামাস এর এই বর্বর আক্রমণ সম্পর্কে এক বারও টের পায় নাই, এটা আমার সত্যি বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। তার উপর, এই যে গাজা বর্ডার থেকে এত কাছে এত বড় একটা ফেস্টিভ্যাল হচ্ছে, সেই ফেস্টিভ্যালের নিরাপত্তায় এতই ঘাটতি থাকবে? এই দুই জায়গাতেই দারুন রকমের দুর্বলতা ছিল ইসরাইল এর। এটা দেখে অনেকেই বলছেন, হামাস কে নাকি ইচ্ছে করে এই হামলার সুযোগ দেয়া হয়েছে যাতে এই কারন দেখিয়ে গাজা পুরোপুরি দখল করে নেয়া যায়। আমি এটা বিশ্বাস করি না যদিও। 

সত্য মিথ্যা জানি না। কিন্তু, হামাস্ এর বর্বর হামলার প্রতিবাদে ইসরাইল এখন যা করছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য না – এটা পুরোই যুদ্ধাপরাধ। কিন্তু, এই যুদ্ধের শুরুতে, এবং মাঝে মাঝেই, ইসরাইল অনেক অনেক তথ্যের বিকৃতির আশ্রয় নিয়েছে, তাদের যুদ্ধকে জাস্টিফাই করার জন্য।

যেমন, একদম যুদ্ধের শুরুর দিকে, তারা একটা গল্প বললো, কিভাবে করে হামাস ছোট্ট শিশুদের গলা কেটে হত্যা করেছে। পশ্চিমের সব বড় বড় মিডিয়া হেড লাইন করে, ফলাও করে এই প্রতিবেদন ছাপাল। এই ঘটনার একদিনের মধ্যে, যেই কর্মকর্তা এই দাবি করেছিলেন, তিনি স্বীকার করলেন, তিনি আসলে ভুল করেছেন। আসলে তার কাছে কোনো প্রমাণ নেই যেখানে এই শিশুদের এভাবে করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু, এই যে, তিনি এটা প্রত্যাখ্যান করলেন, এটা আর কোনো বড় মিডিয়ায় আসে নাই। এবং, ইসরাইল এর প্রারম্ভিক যেই লেজিটিমিসি দরকার ছিল, তারা ততক্ষণে সেটা পেয়ে গেছে।

এই একইভাবে তারা এখন হাসপাতালে হামলার অজুহাত খুঁজছে, শরণার্থী শিবিরে হামলার অজুহাত খুঁজছে। পুরো গাজা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েও নাকি হামাসের মূল কমান্ড সেন্টার আল শিফা হাসপাতাল এর নিচে। তাই এই হাসপাতাল মাটিতে মেশাতে হবে। খালি এই হাসপাতাল না, গাজার সব বড় বড় হাসপাতালএর নিচেই নাকি এই অবস্থা। গাজার অনেক বড় স্কুল, বড় বড় শরণার্থী শিবির সবগুলোই নাকি এরকম। তাই সেগুলোও মাটিতে মেশানো চাই। ইতিমধ্যে সৌদি আরবের পয়সায় বানানো একটা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। 

কোন তথ্য টা সত্যি, কোনটা মিথ্যা – ইতিহাস সেটা ঠিকই এক সময় বের করে নিয়ে আসবে। নিরীহ লোক মেরে, নির্যাতন করে টেরোরিস্ট নিধন করা যায় না। বরং, এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক অনেক বেশি। পুরো পৃথিবীতে anti-Semitic বিদ্বেষ বহুগুণে বেড়েছে। ঘৃনা কেবল ঘৃনা বাড়ায়। তাই হচ্ছে। মহাত্মা গান্ধীর একটা কথা এখানে প্রবলভাবে প্রযোজ্য, “an eye for an eye, will make us all blind” আর তাই, যেভাবেই হোক, এই যুদ্ধের আশু সমাপন জরুরি। এই ঘৃণার বিস্তার রোধ করা জরুরি।

জগতের সকল জায়গায় সকল ধ্বংসযজ্ঞ থামুক। সকল নিরপরাধ প্রাণ হেসে খেলে বাঁচতে পারুক। হোক সেটা ফিলিস্তিন, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, বাংলা কিংবা চায়না। সকল মানুষের রক্তই লাল। কিন্তু, এর উপরেও, সকল নিরপরাধ মানুষের মনটাও একই রঙের – সফেদ সাদা।

ইতিহাসের বুকে একশ বছরের পার হয় এক লহমায়। ব্রিটিশরা ইসরাইলে যেই ইহুদি সেটেলমেন্ট শুরু করেছিল ১৯১৭ সালে, তার প্রভাব গত একশ বছর ধরে এই এলাকায় পড়েছে, আগামী একশ বছরও পড়বে। এর সমাধান কোনোভাবেই আগামী কয়েক দশকে হবে না। কিন্তু, আজকে থেকে পাঁচশত বছর পরে গিয়ে কেউ যখন ইতিহাস পড়বে, সে ঠিকই এই ২০২৩ সালে গাজায় চালানো ইসরাইলের গণহত্যার ব্যাপারে নির্মোহভাবে জানবে। এখন আমরা যেভাবে জানি এবং বুঝি কিভাবে জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, পর্তুগাল কিংবা ব্রিটিশরা “সভ্যতার” নামে গণহত্যা চালিয়েছিল। ঠিক সেইভাবে, ইতিহাসের বুকে, ইসরায়েলের এই ধ্বংসযজ্ঞ একইভাবে লেখা থাকবে, যতই তারা বলুক, it’s their right to defend.

সেই ইতিহাসেই লেখা থাকুক, আমাদের মত অসংখ্য ক্ষুদ্র মানুষেরা এই গণহত্যার বিপরীতে ছিল। আমাদের সামর্থ্য নিতান্তই স্বল্প। আমরা কথায় প্রতিবাদ জানাবো, লেখায়, গানে নিন্দা জানাবো, ইসরাইলি পণ্যও বর্জন করবো। আর, চেয়ে চেয়ে কিভাবে এই নিরীহ নিরীহ বাচ্চাগুলো মারা যাচ্ছে দেখবো। এরচেয়ে অসহায় বিমর্ষকর অনুভূতি আর কি হতে পারে?

সকল গণহত্যা বন্ধ হোক।

~ ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ম্যানচেস্টার, ইউকে।

লেখকঃ মাহতাব উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; পিএইচডি ক্যান্ডিডেট, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার, ইউনাইটেড কিংডম (ইউকে)