আমি দেড়যুগের ও আগে তোমায় দেখেছিলাম,
দার্জিলিংয়ে এক চায়ের দোকানে।
বৃষ্টিস্নাত ফুটপাতের জরাজীর্ণ দেহ ঘেঁষে,
কোনো এক ধূসর গোধূলি লগ্নে,
আমি তোমার সংস্পর্শে এসেছিলাম।
বহুবার তোমাকে খুঁজেছিলাম,
রাত-বিরেতে সোডিয়াম নিঃসরিত রাস্তার মোড়ে
লোকে লোকারন্য নগর জুড়ে
আমি তোমার গন্ধ খুঁজেছিলাম।
ভোরের শিশিরে চাতক হয়েছিলাম।
আমি তোমাকে বহুবার দেখতে গিয়েছিলাম;
ঐ জানালার পর্দা সরিয়ে।
রাস্তার মোড়ে সন্ধ্যার বর্ণিল মানুষের ভিড়ে,
বইয়ের প্রচ্ছদের টাইপোগ্রাফিতে,
আমি তোমাকে বহুবার দেখতে চেয়েছিলাম।
শহরজুড়ে যখন অনুষ্ঠান হতো মাঝরাতে,
বসন্তদিনের পাগলাটে স্বপ্নালু ইচ্ছেগুলোর দৌরাত্ম্যে,
আমি বারংবার লঙ্ঘিত নিয়মে বাঁধা পড়ে তোমার স্পর্শ চেয়েছিলাম।
আমি হন্যে হয়ে তোমার সুবাস খুঁজে,
আত্মবিনাশের রন্ধ্রে সর্বনাশ করেছিলাম।
অথচ,
আমি আজও জানি না,
তুমি কোন গোপনে আয়োজন করে লুকিয়ে আছো,
আমি জানি তুমি, আলোমাখা আকাশপটের সর্বাঙ্গ জুড়েই আছো।
আমার অক্ষিপটে চিত্রের কিনারে তোমার ছবি আছে।
শুনেছি,
তুমি নাকি
দার্জিলিংয়ে আত্মহনন করেছিলে মাঝরাতে আমি গৃহে ফেরার পরক্ষণেই
প্রাসাদভবনটিতে?
আমি জেনেছি ক্ষনিক আগে,
দীর্ঘ আঠারো বছর পরে।