পড়ন্ত দহলিজে তোমার সাথে নির্বিচার চোখাচোখির পর
বুঝলাম সেবার র্যাব ধরে নিয়ে গেলে শাস্তি ক্যাম্নে দেয়
প্রাতিষ্ঠানিক বোঝাপড়া নাহয় বহুত হইলো; হইলো দারুণ আগুন চাষ,রমরমা উঠতি দূর্বাঘাসের চিরল চিরল বাতাস ফেলে-রইলোনা দখলে আমার এক ইঞ্চিও আকাশ।
রইলোনা যে কিছুই আমার, পারলাম না আটকাতে মনফকিরারে;
বেবাক হয়ে ফিরি যে আমি শ্বাপদসংকুল চরাচরে।
অনধিকার চর্চা তুমি দারুণ করো,যখন তখন মেরেও ফেলো
মিছিলের কত উনপঞ্চাশ বায়ু তোমারি দেয়ালে উপশম এলো
সামলাও! এ নিষিদ্ধ চাহনি আমলে নাও। নয়তো লেলিয়ে দেবো আর যতো ভাড়াটে কুত্তা সরকার চালায়, দেখি তোমার চাহনির বিষ তারা ক্যাম্নে না নামায়। সামলাও! আর যতো বোমারু বিমানের উত্তাপে এরকম জ্ঞাত-অজ্ঞাত শত দহলিজ আমি উড়িয়ে দেবো -তোমার কুহেলির ফাঁদ যেন তারা ধারণ করতে না পারে।
রাস্তাঘাটে সামলিয়ে হাঁটি, মা বললেন ‘মুখে আব্রু কেন তোর?’
মা বোধহয় এও জানেনা, অনর্থ ঘটানোর দৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য আমি বুকে থুতুসমেত তিনবার সূরা নাস পড়ে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু চোরাকাটা সাপের মতো নরম কোমল সন্ধ্যা চোখদুটো তোমার— পেঁচিয়ে দংশায় আমার বাহুবন্ধনী। প্রিয়ামন চষে কি সে মস্ত ভুল! জড়ানো বাকি শুধু কাফনখানি।