চারপাশে তাকাই।
গাছের পাতা নড়ে, থেমে থেমে, নড়তে থাকে৷
মাঠের মধ্যে মিশে গেছে কতো জুতোর তলার ছাপ, কফ থুতু শুকনো বালুতে শুকায়,
সিগারেটের ফিলটার গুলো কুড়িয়ে কেউ মুখে নিবে না, চায়ের থেবড়ানো কাপও,
মানুষের কথা, গুঞ্জন, মৃদু, পষ্ট, ক্লান্তি বয়ে আনে, রোমকুপ ঘামে ভিজে পশমের আগায়,
দৈন্যদশা মাথার, মাথাভর্তি ঠাশা টাইমলাইন, সাকসেস, পাওয়ার, ফেইলিউর,
ভাতের প্লেটে ভাজা ডিমের উপর কারো নাকের পশম, একটা কুকুর তাকিয়ে আছে বুভুক্ষায়,
পায়ের তলার ধুলো ছাড়া আপাতত কেউ নেই সাথে,
মানুষের দেখা মেলে, হাত মেলাই, হাসি, মুখে শব্দাশব্দি করি, কেউ কাউরে বুঝি না,
টিএসসির দিক থেকে মড়কের গন্ধ আসে, মড়কের গন্ধ কোথায় ওখানে?
ভাতের জোরে যেতে থাকি, পথেরে বুকের ভেতরের সহিংসতা জানাই,
কুকুরেরা একা একটা স্পটে বসে ঝিমানোর আগ পর্যন্ত যাই,
মানুষের পোশাক কথা বলে, মানুষ মানুষের কাঁধে হাত রাখে, নিজেদের দিকে তাকায়, জড়ায়, বিড়ি সাধে, ডান বাম ফ্যাসিবাদ ইসলাম ইসলাম, ফেনা জমে যায়, থুতুর সাথে বেরিয়ে যায় বোধ, জুতার খেচ খেচ শব্দে নিজেরে জানান দেয়, অনেকের বুকে কফ, চোখ ওঠা, এলার্জি, বদহজম, হতাশা লুকাইতে বাচলামি করে কেউ, তাদের চোখ এতো শুন্য, অবিশ্বাসের গাড় সুর মানুষের পাঁজরের হাড় ভেদ করে ঝুলিয়ে রাখে চেতনার সাথে, ক্লুলেস।
ড্রেনের কাদা লাগে জুতার তলায়, গা গুলিয়ে আসে।
মানুষের সব কিছুই বিতৃষ্ণা লাগে, ফাও বাঁচন,
চিৎকার করে গলার সফট টিস্যুর ড্যামেজ করার ইচ্ছে অবদমন করি,
গাছ থেকে বিশ্রী কায়দায় রাস্তায় কাকের বিষ্ঠা পড়ে, যেভাবে তোমার আমার মানসে জালিম করে নিপীড়ন,
তোমার ব্রেনের মধ্যে ক্ষমতার কালেমা, কানে জবরদস্তির মাইক, বাজে, বাজতে থাকে,
তোমার ফেইস তোষামোদি পত্রিকার সম্পাদক ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে দামী সাবানে ধোয়,
তোমার নাস্তা সে খায়,
তোমার স্বপ্ন খায় ন্যারেটিভের ঘুনপোকা।
এমন এক দিনে সব কিছু ভুল ভাবে ঘটতে থাকে, দই চিড়ার অর্ডার দিলে তোমারে দেয় দুধ চিড়া,
তোমারে কেউ দেখেও দেখে না, অথবা দেখে, হাত মিলায়, কিন্তু তার মাথার মধ্যে তুমি নাই,
ফেইসলেস যেন সবাই, যেন কাউরেই মনে থাকে না,
এমন একটা দিনে বিকেল ভীষন অসহ্য হয়ে ওঠে জীবনে, যেন কোন দরকারই নেই,
গাছের পাতাদের খুব খারাপ একটা খিস্তি কাটতে গিয়েও সংবরন করি,
কোন কারন ছাড়াই পাঠক সমাবেশের কথা মনে আসে, এবার গালি দেই,
জাদুঘরে জমা রাখি ক্ষোভ, ঘৃনা, লালসা,
কতৃপক্ষ অভিজাত তরিকায় নাকচ করে আমার গচ্ছিত নাজুকতা।
টাকা দিয়ে থেরাপি কিনে কুত্তারে খাওয়াই,
রাস্তার অনেক রক্তের দাগ দেখা যায় না,
সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে চাকরির পড়া চলে, মসজিদে জিকির,
প্রান্তিক দোকানদারেরা দাঁড়ায় থাকে, রাতে গাঁটের ব্যাথা হলে দিনে দেখা সুন্দর মুখ গুলোরে ভাবে,
এমন রাত গুলোতে শুধু হাঁটতে ইচ্ছে করে,
অস্তিত্বের লঘুতার ভেতর হাল ছেড়ে দেয় বুড়ো কড়ই গাছ,
একটা বিমর্ষতার ভারে ন্যুব্জ নারী শুয়ে পায়ের বাঁধন হালকা করে দেয়,
বিশ্রীরকম বাড়াবাড়ি করে হাত, গলাটিপে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করে নিজেরে।