ছোটো বয়স, বাড়তে থাকলাম—
কখনো মায়ের পেটে-পিঠে,
কখনো বা বাপের কান্ধে সওয়ার হইয়া।
বাপে বড় হইতে লাগলো, বয়সেই;
বাপেদের বয়স বাড়তে থাকবার এক মানে নাকি ফুরায়ে যাবার দিন ঘনায়ে আসা;
আমারো ঘনায়ে আসলো, বয়স তেরো না পেরোইতেই। আন্ধার দিনের শুরু?
কিসের শুরু-শেষ জানলাম না,
এও জানলাম না এর দায়ভার কার?
তবে বুঝলাম—এই এক শুরু, ডিলেমার।
স্কুল হইয়া কলেজ,
বুঝে উঠা হইলো না ‘হোয়াট ইজ নলেজ?’
ভার্সিটিতে আসলাম—
‘সিজি, নাকি নলেজ?’—মহাফাঁপরে পড়লাম।
মায়ে কইলো—’বাপ! বহুত বড় হওন লাগবো, এক নামে চিনন লাগবো।’
কারে বলে বড় হওয়া—মায়েরে পারলাম না বুঝাইবার,
তইলে কি মায়ের মতন কইরা বড় হওয়া হইবো না আমার?
তবে এইবার বুঝলাম, এর দায়ভার কোন শুয়োরের বাচ্চার,
চলতাছে প্রতিযোগিতা, ডিলেমার লগে ডিলেমার।
চাইরদিক তাকায়া বেড়াইতেছি, আর দেখতাছি-
ফুন মারামারি লাগায়া রাখছে জাগায় জাগায়।
অই শুয়োরের বাচ্চারা, শুইনা রাখ—
আমরাও একদিন ফুন মারুম, সমস্ত ডিলেমার ফুন,
ফুন মাইরা তুইলা দিমু শিক্কের আগায়।
আয় এবার, এইবার আয়।
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়