এক
অচিরেই আমরা তোমার দিকে গমন করব
নিজেকে নিজের সামনে দেখতে পেয়ে ভয় পাবে না তো?
ভারী সেই চেহারা, কেমন ছোট্মতো একটা মানুষ
কপালের ভাঁজে লেপটে ছিল ইতিহাস, একটাই ইতিহাস—
শুধু বেঁচে থাকার আপ্রাণ প্রচেষ্টা। কথিত বিপ্লবীরা শ্রেণিসংগ্রাম বলতে ভুল করবে না নিশ্চয়ই।
“তোমাদের জন্য বেঁচে থাকা হে আমার পুনরায় উৎপাদিত পরম্পরা
পাতাবাহার আর জবাফুল গাছের শিকড় আমার কঙ্কালসার শরীরকে কেমন জড়িয়ে ধরেছে”
তোমার অতলে আমায় ঠাঁই দাও
হায়! আমি তোমার ভালোবাসার সঙ্গে শেরিকি করতে চাই।
আসো, আমরা দর্শনচর্চা করি আর শাসক শ্রেণির সমালোচনা করি
সময়ের কসম
এই দেখ, এখনও আমার ফুসফুস জীবিত আছে। অবশ্যই আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব—
হাজেরানে মজলিশ, “তিনি কোনও কালেই মানুষের সামনে উলঙ্গ হওয়া পছন্দ করতেন না, আমরা কি এখনও বৃক্ষমূলের তাৎপর্য অনুধাবন করতে শিখব না?”
দুই
নারীকুলকে ‘নারীকুল’ বলে সম্বোধন করতে আমি কখনোই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব না
যদি আমরা এই ক্লান্তিকাল পার করে নতুন উদ্যমে বিছানায় যেতে শুরু করি
ঠিক যেমনি করে আমি ভালোবেসেছিলাম আমার সরলতাকে উন্মুক্ত করতে কতিপয় নিষ্পাপ ফেরেশতাদের সামনে, এখন থেকে প্রায় ১৫/১৭ বছর আগে
কত সহজ নারী অথবা পুরুষ হয়ে বেঁচে থাকা
“আমি তোমাদের কল্পকাহিনি-উত্তর মজলুমের বেঁচে থাকার আর্তনাদ নিয়ে লিখছি
আশা করি খুব সহজেই তা বোধগম্য হবে, মাথায় রেখ এখন ২০২০।”
হে সুজলা সুফলা,
আমাকে তোমার স্তনের আকৃতি অনুভব করতে দাও
তোমার বক্ষ উন্মুক্ত কর
আমি মহামারি নিয়ে এসেছি। অধরা। আমি তোমায় জাগিয়ে তুলব, কম্পনে কম্পনে নিঃশেষ করে দেব
ভাঁজ খুলে দাও, আমি নিজেই তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করব।
তিন
পরাধীনতার শেকলে বাঁধা তোমার আমার পরিচয়
অথচ কত আগেই আমরা আমাদের শরীরকে কথিত স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করতে দিয়েছিলাম
মনে পড়ে কি সেইসব লীলার কথা?
আহা! আমরা আমাদেরকে আবিষ্কার করেছিলাম রাস্তা ভুলে
হে আমার অদম্য প্রেমিকেরা
আজকাল বাজারে নানান বিষয়ে বইপুস্তক পাওয়া যায়। কী একটা বোকা বোকা খবর আমি দিলাম!!
চল, কাজের কথায় যাওয়া যাক
“মানুষের দুর্বলতাই তার সম্বল। যে ভালোবাসতে জানে সে নিশ্চয়ই ঘৃণার তীব্রতাও বোঝে। আমরা আত্মসম্মান বলে যা কিছু বুঝি তা আমাদের ক্ষতস্থান। আমি হয়তো আবার কবিতায় ফিরে আসব যখন গণআন্দোলনে ভিড়ে তুমি আমায় পিছন থেকে জড়িয়ে ধরবে। নিঃসন্দেহে সেটা তোমরাই।”
চার
হে পরম পুরুষ,
আমায় চিনতে কষ্ট হল বুঝি একটু?
আমার আর কোনো কথাই অবশিষ্ট নাই, এই ছিলে তুমি—তোমার জীবন, প্রেম, যুদ্ধ আর সেইসব সাক্ষাৎ নীরবতা।
আস, আমরা নিরবে প্রতিবাদ করি, তাকিয়ে থাকি নিজেদের দিকে।
কত বুড়ো হয়েও কত তরুণ আমরা।
পাঁচ
ফি-আমানিল্লাহ।
১০/০৪/২০২০ গাজীপুর