আচ্ছা জানেন—
নিতান্ত পার্থিব কথাও কমপ্যাশন নিয়ে লিখতে জানলে তা কবিতা হয়ে উঠে?
আমরা সেসব অবচেতনে খুঁজি
গ্লোরিয়া জিন্সে ওভারপ্রাইসড কফির সাথে সিগারেট ধরিয়ে।
কামাল আতার্তুকে হাঁটতে হাঁটতে।
বিজনেস স্কুলের হোয়াইট বোর্ড আর পাওয়ার পয়েন্টে।
কিন্ত আমরা তো অনেক আগেই বিক্রি হয়েছি।
কিছুটা, অনেকটা বা সবটা।
আমাদের নিষ্পাপ হৃদয়ের আকুতি বিক্রি হয়েছে জীবন রক্ষার বর্ম হিসেবে।
তবু ভুলে কখনো আমরা খুঁজি, সহজ কথা—
নিতান্ত সরল কথাই, কবিতার মত।
আরে শুনছেন তো! আপনাকে বলছি।
চলুন চা খেতে খেতে গল্প করি।
বড়লোক হবার স্বপ্নে বিভোর
ছোটলোকেদের মধ্যে বসে।
আপনি কি সেইসব গল্প শুনবেন
যা ছিলো, যা আর কখনো হবো না
সেটা মেনে নেয়ার পরেও যে অবসাদ লেগে থাকে?
ইস না, কেমন ল্যাদ খাওয়া হয়ে যাচ্ছে!
ছাড়ুন, আপনার গল্প করুন।
অনেকদিন গালে হাত দিয়ে কারো কথা শুনি না। সময় কই বলুন!
কেউ যাতে ছোট করতে না পারে এই মোটিভেশনে ছুটতে ছুটতে
সবাই সবাইকে ছোট করে যাচ্ছি।
ঘৃণা দিয়ে গড়ে তুলবো ভাবছি—
অস্তিত্বের চারপাশে ব্যাপক প্রতিরোধ।
এই চক্র ভেঙে বসে থাকার সময় কি আমাদের হয়?
বসুন তবু, আজ সময় নিয়ে বসে আপনাকে একটু জানি।
আপনার নিতান্ত পার্থিব কথায়ও অর্পণ করার মত
এখানে কিছু উদ্বৃত্ত অবমূল্যায়িত কমপ্যাশন আছে।
বিনিময় মূল্যে পোষালে নিন, যদিও, সবটাই বাহুল্য।
এই সাদা এবং সবুজ সময়টুকু ফুসফুসে নিয়ে চলুন
ঢাল তলোয়ার হাতে বেরিয়ে পড়ি আবারো—
কেননা আমাদেরকে জীবনের খাজনা যুগিয়ে চলতেই হবে।
*শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়