তোমার ভূরাজনীতির অবসেশনে খাবি খেয়ে মরে গেলো সত্য, ন্যায় ও সুন্দর।
তোমার অপবিত্র অবিশ্বাসে মুখ থুবড়ে পড়লো তিতলির ডানা।
ডানায় যত রঙ, সব ঘুরে ঘুরে ছড়িয়ে পড়লো বারান্দার বাইরে।
ওই ছোট্ট অল্প একটু রঙ আর কতটুকুই বা ছড়াতে পারে।
তোমার নিয়ন্ত্রণের নেশায় কৌতুকে পরিণত হলো সব “উচ্চমার্গীয়” ধ্যানধারণা, যা কিনা “বাজারে” চলে না।
অথচ জানো না-
এই পৃথিবীতেই এমন মানুষ এখনো আছে যাদের কাছে পুরো পৃথিবীটা ঠিক বাজার না।
তোমরা সেইসব মানুষের চারপাশে এসেও পালাও নিজের অন্ধকারের প্রতিচ্ছবি দেখে।
তোমরা তাদের অসহিষ্ণু বলে নিজেকে চোখ টিপ দাও, যারা তোমাদের জীবনে বসিয়েছিলো ঠিক সেই “ভিন্নতা”-র সাথে সহাবস্থানের মন থেকে।
এক জীবনে কত সহিষ্ণুতা পেলে তোমাদের কদর্য মনে জন্ম নেবে নিরবচ্ছিন্ন প্রীতি-
এক জীবনে কত কেড়ে নিলে তোমাদের চোয়াল শক্ত করা মন কাঁদবে করুণার
বরষায়-
এক জীবনে কত কৌশল করে বাঁচলে তোমাদের মনের স্তরে স্তরে জমে থাকা
রিপুর মনে হবে-
একটু বাঁচি, বাঁচতে দেই, বেঁচে উঠি?
অবিচারে, অপমানে মরতে থাকা মানুষকেই এককালের মোড়লেরা লোভ
দেখিয়েছিলো অন্য জীবনের। বলেছিলো-
এ জীবনে জিতবে ক্ষমতাবানেরা, তবে-
তোমরা জিতবে অন্য জীবনে।
রণপা। ৯১
তাই যেসব মানুষ ফসলি জমিতে শুয়ে আকাশের তারার নাম দিয়ে যাচ্ছিলো
অনুরাধা,
অশ্বিনী,
কৃত্তিকা,
রোহিণী,
আর্দ্রা,
পূর্বফাল্গুনী,
উত্তরফাল্গুনী,
চিত্রা,
স্বাতী,
বিশাখা- ইত্যাদি-
তারা নিজেদের ছেড়ে দিলো।
অধিকার আদায়ের ক্রুরতা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিলো।
তারপরের ঘটনা সবার জানা।