আমি কেনো ফয়েজ পড়তেই থাকি

রাকিবুল ইসলাম রাকিব

…কারণ ফয়েজ মুভমেন্টের ভেতরে থাকেন। কখনো থামেন না। শায়েরী থামানোর তো সওয়ালই উঠে না। যেটা থামানো যায় সেটা হলো হৃদয়ের স্পন্দন। যা কতো জনরে যে পেছনে রেখে যাচ্ছেন সেই মুভ অনের জায়গা থেকে। কখনোই বিচলিত হন না তবুও। কিন্তু সেন্সেটিভ। যেনো সারা শরীল থেকে লক্ত ঝরছে। কিন্তু লিখেই যেতে হচ্ছে কবিতা।

এমনভাবে আর কেউ শায়েরী করেন না। কেউ ভাবে সোশালিস্ট, কেউ ভাবে সূফী প্রভাবিত। কিন্তু ফয়েজ মাত্রই ফয়েজ। উনাকে আলাদা করে কিছু হয়ে উঠতে হচ্ছে না। জুলুমের খিপাফ বলছেন আবার বাগিছায় নাজুক হয়ে যাওয়া ফুলেদের কথাও ভুলছেন না। একজন পোয়েটের পক্ষে এতো কিছু মানিয়ে নেওয়া সহজ না।

ফয়েজ আসলে তার শায়েরীর শেষ লাইনের শেষ শব্দগুলোতে এসে আমাদের মনে করান যে এইটা একান্তই ফয়েজের ব্যথা। ওইখানের সর্বত্র বিবিধ ভূগোল জড়ো হতে থাকে। এর মধ্যে কিছু আছে যা আস্ফালন করছে। কিছু আছে মৌনতার ভেতর গুম হওয়া। যেটা লক্ষণীয় সেটা হলো ফয়েজ কোথাও থামছেন না। আশপাশের অনেকের দিকে মুচকি হেসে যাচ্ছেন। আর শায়েরীতে বারে বারে ফিরছেন। আমার মনে হয় ফয়েজ এখনো লিখছেন। একজন কবি মূলত দুনিয়ার শুরু থেকে কিয়ামতের অক্ত অবধি লিখে যান। ফয়েজ নিরবধি বয়ে চলা স্রোত। বাগিছায় ফুল ফুটবে, দুনিয়ায় বসন্ত আসবে আর ফয়েজ কিছু না কিছু লিখবেন না এতো হতেই পারে না। ফয়েজ ক্রমাগত resurrected হইতে থাকা রুহ। আমাদের আপনজন। 

গদ্যকারঃ রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।