তাহিরা বানুর বিবাহ হওয়ার সময় তার বয়স তেরর গন্ডি পার হয়নি। একবিংশ
শতাব্দীতে এসে শহুরে মাস্টার্স পাশ বাবা-মা থাকা সত্ত্বেও তাহিরার বিবাহ
কেন চৌদ্দর চৌকাঠ মাড়ানোর আগেই হচ্ছে তেমন একটা ক্রাইসিস আমার
তৈরি করতে হবে। কারন আমি বালিকা বঁধু শিরোনামে একটা গল্প লেখতে
চাইছি। ক্রাইসিস ছাড়া কোন মেয়েকে দুই হাজার বিশ সালে তের বছর বয়সে
বিবাহ দেওয়া হয় না, বাংলাদেশের ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্ত
পরিবারে। তাহিরার পরিবার মোটামুটি সচ্ছল মধ্যবিত্তই। তের বছর বয়সে
মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে এমন কোন পারিবারিক সমস্যা তাদের নাই। তাহিরারা
দুই বোন। বড় বোন সীমানার বিয়ে হয় নি। সীমানা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিবে।
তাহিরা সবে ক্লাস এইটে। বড় বোনের বিবাহ হওয়ার আগেই ছোট বোনের
বিবাহ ঘোড়া ডিঙ্গায়ে ঘাস খাওয়ার মত বিষয়। তাহিরার ক্ষেত্রে সেটাই হচ্ছে।
সন্মানিত পাঠক আপনাকে আবারো মনে করিয়ে দিতে চাই আমি যা বলতেছি
তার সবটাই গল্প। এবং আমি নিজে এই গল্পটা নিয়ে ক্রাইসিসে আছি কারন
তাহিরার বিবাহটা ঠিক কোন কারনে হলো তা আমি ঠিক করতে পারতেছি না।
অনেকরকম ক্রাইসিস দেখানো গেলেও সবকিছু সত্য এমন একটা ক্রাইসিস
যা কিনা আপনাদের কাছে সম্পূর্ণ বাস্তব বলে মনে হবে তা খুঁজে বের করে
আমাকে গল্পটা লেখতে হবে। যাইহোক তাহিরার বিবাহের পাত্র হতে পারে
জনাদশেক ছেলের মধ্যে থেকে যেকোন একজন। কে হবে তাহিরার পাত্র?
আমার নিজের বেশ লোভ হচ্ছে এই গল্পে তাহিরার পাত্র হয়ে যাওয়ার। কিন্তু
পাত্র হিসেবে শুধুলেখক অতি নিম্নবর্গের হওয়ায় তাহিরার পাত্র আমার হওয়া
হবে না। তাহিরার পাত্র সদ্য ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া সামিউল।