মিমাংসার বাইরে নেমে এসে খোঁপ, ঘুপচি,
ভেতর-বাড়ি, সব সারাবেলা গলা ডুবিয়ে চুবে থাকছে
সময় সমুদ্রে;
এখন ঝলকে উঠছে তো পরেরবার ধ্বসে পড়ছে
প্রমানের জ্যোতির নীচে শুয়ে থেকে হলুদ হয়ে উঠা
সিঁড়ি,
এমন প্রবল তোড়ের পৃথিবী,
সন্দেহ আর প্রশ্নের এই সুতাবনে তুমি
শুধু
সত্য
আমার,
প্রমাণের ইচ্ছা জাগে না- সে বিরল আনন্দ,
সহজ বিশ্বাস।
পথে দাঁড়াই, পথের ভেতর থেকে শাঁ শাঁ দল করে উড়ে আসছে
বহুপথ,
প্রতিটির চিবুকে বড় কালির চুমকি ফলক
ঝুলছে, চামড়ায় মোড়ানো সঙ্গা, প্রস্তাবনা,
মেথোডোলোজির দুনিয়া-
আমাকে জাদু করে আয়না ধরতে চায় এই সমস্ত
পৃথিবী-
সারা শহরে অমৌসুমি জোসনা,
ব্যকুল আকর্ষণ,
আমার হ্রদয় আগ্রহে কব্জা মেরে
সভার মুকুল থেকে ফোঁটা ফোঁটা ঝড়ে পড়ছে টিন্ডার-রুপসী, হাত বাড়ালে
এসে হাত ধরে মুক্ত বয়ান। আমি যাব না।
আমার ভাল লাগে না। আমাকে
ছিনতাই করে ফেলে ঘুমের ভেতর প্যরিস রোড! এই ডানে কথার আসর,
এই বায়ে নেশা,
ভিতরে বয়ে যায় পৃথিবী-
চিরদিন উন্মাদ ঘটনাবলি স্ট্রিপক্লাবের
ফ্লোরে
ঝুলে ঝুলে নাচতে থাকা যুবতী মেয়ের দল-
অনুবাদ চায়
ওরা;
উৎসুক, সন্দিহান চোখগুলোর দিকে ব্রেসিয়ার, শর্টস
খুলে
ছুঁড়ে দিচ্ছে
ওরা;
অনুবাদ চায়…
জান, বড় ক্লান্ত লাগে,
জান, মুক্তি নেই,
জান, আমি উড়ে চলে আসব
তোমার কাছে।
আমার ঘ্রাণেন্দ্রিয় বলে দেয় নেকড়েতে পেয়েছে আমাকে শৈশবে,
ওরা প্রশংসা করে দুধ ও পানি আলাদা করে খেতে পারার
সেই দারুণ রাজহংস আমি,
এসব কিছু আমি ফেলে আসব
পৃথিবী নামের নালায়,
আমি উড়ে চলে আসব তারপর তোমার কাছে,
পৃথিবীর সহজ সত্যের,
সাধনার,
বিরল বিশ্বাসের কাছে।