সংগীতের শরীর হতে বিতাড়িত হয়ে
হাঁটতে হাঁটতে বিস্তীর্ণ পথে
আচমকা দুঃখের মুখোমুখি হই।
দুঃখের সাথে ঝুপড়িতে বসে চা খাই,
কথা বলি
দর্শন–সাহিত্য–রাজনীতি
দুঃখের সাথে করি দুঃখের গল্প,
তার পরিজনের খবর নিতে উদ্যত হই
তাকে হাসাতে গিয়ে হঠাৎ
করে ফেলি স্থুল রসিকতা!
তবু সে হাসে, ওষ্ঠ উদার, ভ্রুক্ষেপহীন।
দুঃখতে আমি স্থায়ী হতে চাই,
দুঃখ চায় না আমারে
যেভাবে আমি চাই।
কিংবা বাসেও না সে ভালো
তারে যেভাবে বাসি।
আঙুলে আঙুল সঁপে
ছুঁয়ে দিয়ে হাত
হাঁটে না পিচঢালা পথে
সবুজাভ উদ্যানে,
বলে না প্রিয়কথা,
সে কি নিশুতি ভ্রমর?
তার দেহের খরস্রোতা ঢেউ
ফেলে দিয়ে গেলে পাঁজরের নিরুপম করিডোরে,
সাঁতার না জানা এ দেহ
ডানা ঝাঁপটে মরে নীল দরিয়ার বুকে।
বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়