এক
আমি মৃত্যুকে ভয় পাইনি
মানুষের মরে যাওয়াতে ভয় পেয়েছি। ভয় পেয়েছি কেউ একজন কাউকে আর ভালবাসবে না।
ওগো তুমি আমার ভালবাসায় বিচলিত ,
তোমায় যে আর ভালবাসা হবেনা ।
আজ তোমায় শেষ বারের মত বেশি বেশি ভালবাসতে চাই, আমার সাথে আরেকটু নিঃশ্বাস নাও;
আমায় প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতে নাও রূহের তরে দেহের কোরবানি হবার পূর্বে।
দুই
আশ্চর্য! মানুষ বেহেশতে যাবার আশায় বসে থাকে
কতবার তাদের মৃত্যু হয়,
তারপরেও তাদের রূহের জন্ম হয় না। তারা মায়ের গর্ভে বাড়তেই থাকে।
অতঃপর বাবা হয়ে জন্ম নিয়ে যোনি সহ তার আশেপাশের এলাকায় পুরুষতন্ত্র কায়েম করে।
“হাউ বিউটিফুল ইজ ইয়োর ট্রান্স!!”
“হাহ! ইউ নিড টু আর্ন মানি অ্যান্ড বিকাম ইন্ডিপেনডেন্ট।“
তিন
খাদিজা, তুমি কি জানো ইহকালে পরকালে কোনো ভেদাভেদ নেই
নিশ্চয়ই জানো কিন্তু কোনোদিন আমায় বলোনি
ভেবেছিলে আমি হয়তো বেহেশতে যেতে চাই
বিশ্বাস করো কস্মিনকালেও আমি দুনিয়াতে বেহেশত বানাতে ভুলিনি
মনে পড়ে কি সেইদিনের কথা, আমি মাথায় সাদা কাপড় বেঁধেছিলাম। আজ আমার প্রথম সবক
অন্ধকারে আমি কেঁপে উঠেছিলাম
সাদা দাড়ির লোকটা আমায় আগলে ধরেছিল। কী হয়েছে? আর ইউ স্কেয়ার্ড?
আজও আমি সময় অসময় কেঁপে উঠি।
চার
আমার খাদিজা।
আমার কালভেদী উত্তাল তরঙ্গ, কখনোই কি আমি তোমার পরিচয় জানতে চেয়েছিলাম?
মানুষ আজকাল মৃত্যুর ভয়ে মরতে বসেছে
অথচ এখনও তাদের ব্যথা হাঁটু অবধি ওঠেনি। তারা মহামারী চিনতে পারেনি
ওগো, তুমি কি এখনো আমার ভালোবাসায় বিচলিত
আজ তোমায় শেষ বারের মত বেশি বেশি ভালবাসতে চাই, আমার সাথে আরেকটু নিঃশ্বাস নাও
আমায় প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতে ও রূহের তরে দেহের কোরবানি হবার পূর্বে।
পাঁচ
প্রজন্মের কথা ভাবলেই কেমন অবাক লাগে
কত আগেই আমরা কেয়ামতের কথা ভেবেছিলাম
আমার উচ্চতা ছিল ৩–৪ ফুটের মধ্যে আর বাবা ৫.৪/৫
বাবার কাঁধে উঠেও রক্ষা নেই। ১১ ফুট পানি উঠবে। ও মা, রান্না করে কী হবে
আমরা তো মরে যাব। মা বললো…
“বাঁচমু না কইরা করমু না কাম,
বাঁচলে খামু কী।”
খাদিজা, আজকাল আমার বোধহয় স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে। তসবিহ নিয়ে বসেই সময় কাটে
“লা-ইলাহা ইল্লা-আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ্-জালিমীন।“
ছয়
আজ তোমায় শেষ বারের মত বেশি বেশি ভালবাসতে চাই, আমার সাথে আরেকটু নিঃশ্বাস নাও
আমায় প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতে নাও রূহের তরে দেহের কোরবানি হবার পূর্বে।
১2/০৪/২০২০ গাজীপুর